আমাদের শান্তিনিকেতন আমাদের সব হতে আপন।
“তিনি আমার প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি”
বিস্তারিত জানুন“আয় আয় আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল-”
শান্তিনিকেতন
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তির স্থান। ১৮৬৩ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের লাল মাটির ধূসর প্রান্তরে ২০ একর জমিতে একটি ছোট অতিথিশালা নির্মাণ করে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন আজ তা আমাদের সকলের কাছে শান্তিনিকেতন হিসেবে পরিচিত।
আরও জানুনসোনাঝুরি হাট
বীরভূমের লাল মাটিতে, জঙ্গলের মাঝখানে, গ্রাম্যময় প্রকৃতিতে ঘেরা ও অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সাপ্তাহিক হাট হল সোনাঝুরি হাট। সোনাঝুরি হাটে মূলত স্থানীয় হস্তশিল্পী ও কারিগররা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি শিল্পগুলো বিক্রি করতে নিয়ে আসেন।
আরও জানুনসাম্প্রতিক প্রকাশনা
বিশ্বভারতী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক, অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, ভারতের প্রথম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি এবং UNESCO World Heritage Site (ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট)।
বিশ্বভারতীর মূল লক্ষ্য হল জ্ঞানের সার্বজনীনতা এবং সংস্কৃতির বহুত্ববাদকে উদযাপন করা। এখানে পাঠদান প্রথাগত শ্রেণীকক্ষের বাইরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হয়।
বিশ্বভারতী আজও ভারতীয় ঐতিহ্য, মানবতাবাদ, এবং শিক্ষার গভীর দৃষ্টিভঙ্গির এক জীবন্ত উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য একটি অনুপ্রেরণার স্থান।
বিশ্বভারতী আজও ভারতীয় ঐতিহ্য, মানবতাবাদ, এবং শিক্ষার গভীর দৃষ্টিভঙ্গির এক জীবন্ত উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য একটি অনুপ্রেরণার স্থান।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যখন রব না আমি মর্তকায়ায়
তখন স্মরিতে যদি হয় মন
তবে তুমি এসো হেথা নিভৃত ছায়ায়
যেথা এই চৈত্রের শালবন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক মহীরুহ। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য কর্মে মানবতা, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর প্রভাব পাওয়া যায়। তার কবিতাগুলি যেমন সাধারণ মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, তেমনি তার গানগুলি বাংলা সঙ্গীতের মাধুর্যকে সমৃদ্ধ করেছে। “গীতাঞ্জলি” কাব্যের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে মুক্ত পরিবেশে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিতে সর্বজনীনতা এবং মানবতার আহ্বান বারবার ফিরে আসে। তার রচিত দুইটি গান, “জন গণ মন” এবং “আমার সোনার বাংলা,” যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এটি তার ভাবনার গভীরতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসারই প্রতিফলন।
তার সাহিত্য, সঙ্গীত, এবং শিল্পকর্মের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ মানুষের অন্তরের দুঃখ-বেদনা, আনন্দ, এবং আশা প্রকাশ করেছেন। আজও তিনি আমাদের হৃদয়ে অনুপ্রেরণা জাগান।